সফলতার সংজ্ঞাটা আসলে কি গাড়ি–বাড়ি, কোটি কোটি টাকা, সম্পত্তি নাকি অন্য কিছু। হয়তো এখানে প্রশ্নকর্তা গাড়ি–বাড়ি আর কোটি কোটি টাকার কথাই বুঝাতে চেয়েছেন। আমিও ঠিকই আপনার কথা বুঝতে পেরেছি, তারপর একটু জানতে চাইলাম আর কি। কিভাবে এত টাকা রোজগার করা সম্ভব ফ্রিল্যান্সিং থেকে। চলুন, এক এক করে উপায়গুলো জেনে নিই।
১.পছন্দের বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিনঃ
আপনার পছন্দের বিষয়ে আপনি এমন ভাবে শিখে ফেলুন, যেন ওই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্নই না থাকে। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তবে তা যেন প্রযুক্তির কল্যাণে নতুনভাবে তৈরি হয়। যা আগে ছিল না।
২. ক্লাইন্টের দৃষ্টি আকর্ষণঃ
ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে এমন কিছু কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো ক্লাইন্টের কাছে তুলে ধরতে পারেন। আপনাকে কাজের বিষয়ে দক্ষতা, প্রতিভা, অভিঙ্ঘতা থাকতে হবে। আপনি যে কাজ জানেন তার জন্য আপনাকে একটি পোর্টফলিও ওয়েব সাইড তৈরি করতে হবে। আপনার কাজ গুলো ঔ ওয়েব সাইডে আপলোড করতে হবে। যাতে ক্লাইন্টের সাথে আপনার কাজের জন্য একটা রাস্তা তৈরি হয়ে যাও। ক্লাইন্ট মন করলে আপনার কাজ গুলো দেখতে পারে।
৩.কাজের চাহিদা বৃদ্ধি
আপনাকে প্রথমে অল্প টাকায় ক্লাইন্টের কাজ করে দেবার মন মানোসিগতা তৈরি করতে হবে। কারণ আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার। প্রথমে অল্প দামে কাজ করে আপনার অবস্থান উন্নত করতে হবে। পরে যখন আপনার কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি টাকার অংক বাড়িয়ে দিবেন। এতে কাজের আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
৪. ইংরেজিতে দক্ষতা
আপনাকে ভালো ইংরেজি ভাষার দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি ইংরেজি ভালো না পারেন তাহালে আপনাকে ইংরেজি শিখতে হবে। কারণ ক্লাইন্টের সাথে আপনাকে কাজের বিড দেওয়ার পর ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। আপনার কথা যদি ক্লাইন্ট বুঝতে না পারে তাহালে তো ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে না। সুতরাং আপনাকে ইংরেজি দক্ষ হতে হবে।
৫. মার্কেটপ্লেস এ কম মূল্যে বিডিং
আপনাকে কম মূল্য বা কম টাকার মধ্যে কাজের বিড দিতে হবে। একটি কাজের জন্য প্রচুর মানুষ বিড দিয়ে থাকে। ক্লাইন্ট সব সময় দেখে যে কম টাকার মধ্যে কে আমার কাজটা সুন্দর ভাবে করে দিতে পারবে। ক্লাইন্ট তাকে সব সময় কাজ দিবে।তার জন্য আপনাকে কম টাকায় বিড দিতে হবে। এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা ৯০% থাকবে।
৬.কম বেতনে কাজ
আপনাকে কম বেতনে কাজ করতে শুরু করতে হবে। এতে আপনার চাহিদা সব সময় সব ক্লাইন্টের কাছে বৃদ্বি পাবে। এর পর ধিরে ধিরে আপনার ঘন্টার পরিমান বাড়িয়ে দিবেন।
৭. সুন্দর করে পোর্টফোলিও সাজানো
আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রাফাইল সুন্দর করে সাজাতে হবে। আপনি কি কি কাজের বিষয়ে দক্ষ সেটা আপনার ট্রাফাইলে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করতে হবে। এবং প্রাফাইলে আপনার পোর্টফলিও লিংক দিয়ে দিতে হবে। আপনি সব সময় চেষ্ট করবেন যাতে প্রাফাইল ১০০% হয়ে যায়। প্রাফাইল ১০০% হলে আপনার প্রাফাইল টপে চলে যাবে।
৮. কাজের প্রতি মনোযোগ
প্রথমে আপনাকে কাজ পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রাম করতে হবে। আপনাকে কাজের প্রতি মনোযোগী হতে। সময় দিতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে। কারন প্রথমে কাজ পাওয়া অনেক কষ্টকর। সুতারাং আপনাকে সময়, ধের্য এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে।
৯.ধৈর্যধারণ
ধৈর্য্যই হলো সফলতার প্রধান শর্ত।”
মনে করেন আপনি কাজের বিড দিচ্ছেন কিন্ত কাজ পাচ্ছেন না। এতে আপনার ধৈর্য হারালে চলবে না। সব নতুনদের এমন হয়ে থাকে। ২০–২৫ দিন পরে প্রায় ফ্রিল্যান্সারা কাজ পেয়ে থাকে। আর আপনাকে সর্বদা চেষ্টা করতে হবে। সুন্দর ভাবে বিড দিতে হবে। যাতে ক্লাইন্ট আপনার লেখা গুলো পড়ে আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী প্রকাশ করে।
১০.কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা
আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার এর সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। যেমন কিছু সফটওয়্যার রয়েছে এর মধ্যে মাইক্রেসফট এবং কিবোর্ড চালনায় দক্ষ থাকতে হবে। এবং ফ্রিল্যান্সার কাজের জন্য কিছু প্রোগ্রামিং জানতে হবে। এতে আপনাকে ফ্রিল্যান্সার কাজ করতে অনেকটা সহজতর হবে।
১১. লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করার অভ্যাস
ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগে লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে । তাহলে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে। কেননা আপনি যদি লোকাল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট কে খুশি করতে না পারেন তবে কিভাবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টকে খুশি করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসবেন।
১২. সময়ের সঠিক ব্যবহার
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সময় অতি মূল্যবান একটি সম্পদ। আপনার সময়কে সাজিয়ে নিন যাতে করে এর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয়। টাইম ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করুন। নোট নেয়ার জন্য এভারনোট, গুগল কিপ এর মত টুলস গুলোর সাহায্য নিন। সময় মত ক্লাইন্ট এর কাজ শেষ করুন। সময়ানুবর্তিতা এবং দায়িত্বশীলতা ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।
১৩. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ফ্রিল্যান্সিং কাজে অনেকসময়ই বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে আপনাকে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আর কারো উপর নির্ভর করার সুযোগ নেই। কাজেই নিজে নিজেই সকল সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে হবে। সমস্যা সমাধানে আপনি যত দক্ষ হবেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তত বেশি চাহিদা থাকবে আপনার। কাজেই নিজের সমস্যা সমাধানের দক্ষতার দিকে নজর দিন।
১৪. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ফ্রিল্যান্সিং কাজে অনেকসময়ই বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে আপনাকে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আর কারো উপর নির্ভর করার সুযোগ নেই। কাজেই নিজে নিজেই সকল সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে হবে। সমস্যা সমাধানে আপনি যত দক্ষ হবেন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তত বেশি চাহিদা থাকবে আপনার। কাজেই নিজের সমস্যা সমাধানের দক্ষতার দিকে নজর দিন।
১৫. ঠিক কাজটি নির্বাচন করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক অসৎ লোকও রয়েছে। এজন্য কাজ নেয়ার আগে ক্লাইন্ট নির্ভরযোগ্য কিনা তা ভালভাবে যাচাই করে নিন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লাইন্ট এর রেটিং কিরকম আছে, ক্লাইন্ট এর ব্যাপারে অন্যদের রিভিউ কী বলে ইত্যাদি খেয়াল করুন। কাজ শেষ হয়ে গেলে ক্ল্যায়েন্ট পেমেন্ট নিয়ে লুকোচুরি খেললে সরাসরি সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।
১৬. ঠিক কাজটি নির্বাচন করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক অসৎ লোকও রয়েছে। এজন্য কাজ নেয়ার আগে ক্লাইন্ট নির্ভরযোগ্য কিনা তা ভালভাবে যাচাই করে নিন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লাইন্ট এর রেটিং কিরকম আছে, ক্লাইন্ট এর ব্যাপারে অন্যদের রিভিউ কী বলে ইত্যাদি খেয়াল করুন। কাজ শেষ হয়ে গেলে ক্ল্যায়েন্ট পেমেন্ট নিয়ে লুকোচুরি খেললে সরাসরি সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।
১৭. ঠিক কাজটি নির্বাচন করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক অসৎ লোকও রয়েছে। এজন্য কাজ নেয়ার আগে ক্লাইন্ট নির্ভরযোগ্য কিনা তা ভালভাবে যাচাই করে নিন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লাইন্ট এর রেটিং কিরকম আছে, ক্লাইন্ট এর ব্যাপারে অন্যদের রিভিউ কী বলে ইত্যাদি খেয়াল করুন। কাজ শেষ হয়ে গেলে ক্ল্যায়েন্ট পেমেন্ট নিয়ে লুকোচুরি খেললে সরাসরি সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।
১৮. নিজে নিজে শেখা
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে নিজে নিজে শেখা। কেননা আপনি স্বাভাবিক কোন চাকরি করলে সেখানে আপনাকে কাজে দক্ষ করে তুলতে বা কাজ শেখাতে নানা রকম কোর্স, ফ্রি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজে নিজে শেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কাজেই নিজে নিজে শেখার ব্যাপারে দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরি। নিজে থেকেই আগ্রহ নিয়ে নতুন বিষয় শিখে নিজের দক্ষতা বাড়ানো দরকার। নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
১৯.নতুন কিছু শেখা
মৃত্যু পর্যন্ত নিজের দক্ষতাকে সামনের দিকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে থাকে। বিশ্বের সাথে আপডেট থাকা, স্কিল টেস্ট দেয়া, নতুন কম্যুনিটির সাথে যুক্ত হওয়া, আপনার জব ফিল্ড এর সাথে সম্পর্কিত নতুন বিষয়গুলো শেখা, কমিউনিকেশন এর দক্ষতা বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে নজর দিন।
তাহলে আর কি আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই উপরে প্রত্যেকটি কাজ আপনাকে মেনে চলতে হবে। আর এর সাথে সাহায্য করবে আমাদের পেইজ “গ্রিন স্কুল বিডি “।
– তাশরিফা রহমান